ইরোটিকা এবং পর্নোগ্রাফি
লিখতে দেরী হয়ে গেল, ব্লগের গত সপ্তাহের উদ্দাম ভাবটা কেটে গেছে, তবুও ...। পর্নোগ্রাফি- অশ্লীল সাহিত্য, ছবি, সিনেমা ইত্যাদির অবাধ প্রসারকে অনেক সময় আমরা আধুনিক পাশ্চাত্য সভ্যতার অংশ বলে মনে করি। বলাবাহুল্য আমাদের মধ্যে এই ধারনাটা বেশ প্রবল যে কয়েক প্রজন্ম আগেও আমাদের সমাজে অশ্লীলতার প্রকোপ কম ছিল, পশ্চিমের সং¯úর্শে আমাদের মুল্যবোধ উচ্ছন্নে যেতে বসেছে। কিন্তু আসলেই কি তাই।
ইরোটিকা, পর্নোগ্রাফি কোনটাই আধুনিক সভ্যতার আবিষ্কার নয়। মানুষের রাজনৈতিক ইতিহাসের বহু আগে থেকে এদের অস্তিত্ব আছে। প্যালিওলিথিক যুগের (পুরোনো প্রস্তর যুগ) বহু গুহাচিত্র (cave painting), ভাষ্কর্যে নগ্নতার ছাপ আছে । সময়ের সাথে সাথে মানুষের প্রযুক্তির যত উন্নতি হতে থাকে মানুষ ততই বিভিন্ন মাধ্যমে ইরোটিকার চর্চা করতে থাকে। মোটামুটি খৃষ্টপুর্ব ৪০০০ অব্দ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের আলাদা আলাদা সভ্যতায় আলাদা ভাবে মানুষ যেখানে যেভাবে পেরেছে সেভাবে অশ্লীল ছবি, সিরামিক pottery, কাঠের ভাষ্কর্য্য, প্রস্তর মুর্তি, প্যাপিরাসে লেখা বই, ষ্কেচবুক, নাটক, গল্প, কবিতা, গান, কাব্য রেখে গেছে। গ্রীক এবং রোমান সভ্যতায় ইরোটিকাকে গ্রহনযোগ্যতার দৃষ্টিতে দেখা হতো। ১৮৬০-এ যখন পম্পেই এর excavation চলছিল তখনকার ভিক্টোরিয়ান যুগের প্রত্নতাত্ত্বিকরা রীতিমতো শকড হয়েছিলেন রোমানদের ইরোটিক আর্ট দেখে। অনেকদিন পর্যন্ত এসব চিত্রকর্ম এবং ভাষ্কর্য্য গোপন জাদুঘরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল যেন সাধারন মানুষ দেখতে না পারে। যদিও মিশরীয়, গ্রীক বা রোমান সভ্যতায় অশ্লীল ছবি/সাহিত্যের ওপর বিশেষ কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না, ধর্মের প্রভাব বাড়ার সাথে সাথে মধ্যযুগে এগুলোর ওপর বিধি নিষেধের খড়গ পড়তে থাকে। তাই বলে অবশ্য এদের চর্চা থেমে থাকেনি, তবে অনেকটাই সীমিত ছিল সমাজের গন্যমান্য, রাজা বাদশাহদের মধ্যে। মুসলিম সামªাজ্য গুলোতে হারেমে যেŠনতার ব্যপক চর্চা হলেও কেবল সামাজিক/রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিতদের সে সুযোগ ছিল (ছবি-১)।
প্রিন্টিং প্রেসের আবিষ্কারের পর্নোগ্রাফী প্রথমবারের মতো ব্যপক প্রচারের সুযোগ পায়। এরমক প্রথম ষ্ক্যান্ডালটি ছিল ১৫২৪ সালে Pietro Aretino এবং Marcantonio Raimondi র বের করা I modi বইটি (মুলত ১৬টি sexual position এর ছবির বই)। অষ্টাদশ শতাব্দিতে ফরাসি মুক্তচিন্তাবিদরা পর্নোগ্রাফিকে সমাজ, চার্চ এবং রাষ্টªতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা শুরু করেন। স্বভাবতই তখনকার (এবং অনেক পশ্চাত্মুখী দেশে এখনও) শাসক শেªনী এতে ভয় পেয়ে যেতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দিতে ফটোগ্রাফি আসার সাথে সাথে পর্ন এই মাধ্যমটিকে লুফে নেয়। ১৮৮০ তে হাফটোন প্রিন্টিং শুরু হলে ইরোটিকা প্রকাশ নতুন মাত্রা পেয়ে যায়। পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র, সাধারন চলচ্চিত্রের প্রায় সমান পুরোনো, Eugene Pirou, Albert Kirchner সবচেয়ে প্রথম সিনেমাতে পর্ন ধারা প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরে যতগুলো নতুন টেকনোলোজি আবিষ্কার পর্ন খুব দ্রুত তাতে আতি¥করন করেছে, ৮মিমি এবং সুপার-৮ ফিল¥ বের হলে অ¨ামেচার সিনেমা সেই সাথে পর্ন মুভি আরো বেড়ে যায়। আশির দশকে সংযোজন হয় ভিসিআর, মানুষ বাসায় বসেই পর্ন মুভি দেখার সুযোগ পায়।
সবশেষে বোধ হয় ইন্টারনেট, ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে যে তথ্য ট্রান্সফার করে তার একটা বড় অংশ অশ্লীলতা, নগ্নতা সংক্রান্ত। ইন্টারনেটের কারনে পর্ন এত সহজলভ্য এবং সস্তা যে পর্নের নিষিদ্ধ আকর্ষন অনেকটাই হারাতে বসেছে। স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে অশ্লীলতার এই ব্যপকতা আমাদের জন্য ভালো না খারাপ। প্রকাশ্য ফোরামে আমাদের বেশীরভাগই অবশ্য একপেশে মন্তব্যে ঝাপিয়ে পড়ব, একই সময় হয়তো বªাউজারে অন্য ট্যাবে/উইন্ডোতে পর্ন ডাউনলোড চলছে। যেহেতু দেখতে পাচ্ছি পর্ন ইরোটিকা এরা সভ্যতার চেয়েও পুরোনো, বহু আগে থেকেই আমাদের সাথে আছে, সুতরাং দ্বিচারিতাপ্রবন স্বিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরেকটু ভাবা উচিত।
গত এক দশকে পর্ন এবং সমাজে তার প্রভাব নিয়ে অনেক স্টাডি করা হয়েছে। আশ্চর্য্যজনকভাবে এদের ফলাফল বলে যে পর্ন বা ইরোটিকার চর্চা সমাজে যেŠন অপরাধ কমাতে সাহায্য করে। ষ্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্নের ব্যাপারে সবচেয়ে উন্মুক্ত এবং এই দেশগুলোতেই যেŠন অপরাধ সবচেয়ে কম। যারা মাঝে মধ্যে পর্ন দেখে তাদের ওপর গবেষনা করে দেখা যায় এসব দর্শকরা সেক্স নিয়ে কম আগ্রাসী মনোভাবে আক্রান্ত থাকে (Thompson, 1994)। মজার ব্যাপার হচ্ছে ইন্টারনেটে "sex" শব্দটা সবচেয়ে বেশী সার্চ হয় পাকিস্তান থেকে, আর প্রথম দশটি দেশের আটটিই মুসলিম (ক্রমানুসারে পাকিস্তান, মিশর, ভিয়েতনাম, ইরান, মরোককো, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, সোদি আরব, তুরষ্ক, মালয়শিয়া)। ভাগ্য ভালো বাংলাদেশ নেই।
তো কথা হচ্ছে সমাজ, রাষ্টª, বিশেষ করে কিছু ধর্ম অশ্লীলতাকে এত বাধা দেয় কেন। আগ্রহ বাড়ানো যদি বাধা দেয়ার উদ্দ্যেশ্য হয় তাহলে অবশ্য অন্য কথা। অনেক সময় ছোট ভাইবোনের অজুহাত এসে যায়, আচ্ছা অশ্লীল ছবি দেখে বা লেখা পড়ে কি বড়রা বখে যেতে পারে না? বড়দের জন্য আমার একটাই উপদেশ practice what you preach। একসময় সমাজের উপরতলার মানুষ সাধারনের মধ্যে পর্ন নিষিদ্ধ করেছিল, কারন তাদের ধারনা ছিল সাধারন এগুলো দেখে বা পড়ে রাষ্টªীয় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে, অথবা বৃত্তের বাইরে চিন্তা করতে শিখে যাবে। দুঃখজনক যে এই বৃত্তবন্দি করার চেষ্টা আজও শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না।
পাঠকদের কাছে প্রশ্ন erotica যথাযথ বাংলা শব্দার্থ কি?
ইরোটিকা, পর্নোগ্রাফি কোনটাই আধুনিক সভ্যতার আবিষ্কার নয়। মানুষের রাজনৈতিক ইতিহাসের বহু আগে থেকে এদের অস্তিত্ব আছে। প্যালিওলিথিক যুগের (পুরোনো প্রস্তর যুগ) বহু গুহাচিত্র (cave painting), ভাষ্কর্যে নগ্নতার ছাপ আছে । সময়ের সাথে সাথে মানুষের প্রযুক্তির যত উন্নতি হতে থাকে মানুষ ততই বিভিন্ন মাধ্যমে ইরোটিকার চর্চা করতে থাকে। মোটামুটি খৃষ্টপুর্ব ৪০০০ অব্দ থেকে পৃথিবীর বিভিন্ন স্থানের আলাদা আলাদা সভ্যতায় আলাদা ভাবে মানুষ যেখানে যেভাবে পেরেছে সেভাবে অশ্লীল ছবি, সিরামিক pottery, কাঠের ভাষ্কর্য্য, প্রস্তর মুর্তি, প্যাপিরাসে লেখা বই, ষ্কেচবুক, নাটক, গল্প, কবিতা, গান, কাব্য রেখে গেছে। গ্রীক এবং রোমান সভ্যতায় ইরোটিকাকে গ্রহনযোগ্যতার দৃষ্টিতে দেখা হতো। ১৮৬০-এ যখন পম্পেই এর excavation চলছিল তখনকার ভিক্টোরিয়ান যুগের প্রত্নতাত্ত্বিকরা রীতিমতো শকড হয়েছিলেন রোমানদের ইরোটিক আর্ট দেখে। অনেকদিন পর্যন্ত এসব চিত্রকর্ম এবং ভাষ্কর্য্য গোপন জাদুঘরে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল যেন সাধারন মানুষ দেখতে না পারে। যদিও মিশরীয়, গ্রীক বা রোমান সভ্যতায় অশ্লীল ছবি/সাহিত্যের ওপর বিশেষ কোন নিষেধাজ্ঞা ছিল না, ধর্মের প্রভাব বাড়ার সাথে সাথে মধ্যযুগে এগুলোর ওপর বিধি নিষেধের খড়গ পড়তে থাকে। তাই বলে অবশ্য এদের চর্চা থেমে থাকেনি, তবে অনেকটাই সীমিত ছিল সমাজের গন্যমান্য, রাজা বাদশাহদের মধ্যে। মুসলিম সামªাজ্য গুলোতে হারেমে যেŠনতার ব্যপক চর্চা হলেও কেবল সামাজিক/রাজনৈতিকভাবে প্রতিষ্ঠিতদের সে সুযোগ ছিল (ছবি-১)।
প্রিন্টিং প্রেসের আবিষ্কারের পর্নোগ্রাফী প্রথমবারের মতো ব্যপক প্রচারের সুযোগ পায়। এরমক প্রথম ষ্ক্যান্ডালটি ছিল ১৫২৪ সালে Pietro Aretino এবং Marcantonio Raimondi র বের করা I modi বইটি (মুলত ১৬টি sexual position এর ছবির বই)। অষ্টাদশ শতাব্দিতে ফরাসি মুক্তচিন্তাবিদরা পর্নোগ্রাফিকে সমাজ, চার্চ এবং রাষ্টªতন্ত্রের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা শুরু করেন। স্বভাবতই তখনকার (এবং অনেক পশ্চাত্মুখী দেশে এখনও) শাসক শেªনী এতে ভয় পেয়ে যেতে থাকে। উনবিংশ শতাব্দিতে ফটোগ্রাফি আসার সাথে সাথে পর্ন এই মাধ্যমটিকে লুফে নেয়। ১৮৮০ তে হাফটোন প্রিন্টিং শুরু হলে ইরোটিকা প্রকাশ নতুন মাত্রা পেয়ে যায়। পর্নোগ্রাফিক চলচ্চিত্র, সাধারন চলচ্চিত্রের প্রায় সমান পুরোনো, Eugene Pirou, Albert Kirchner সবচেয়ে প্রথম সিনেমাতে পর্ন ধারা প্রতিষ্ঠা করেন। এর পরে যতগুলো নতুন টেকনোলোজি আবিষ্কার পর্ন খুব দ্রুত তাতে আতি¥করন করেছে, ৮মিমি এবং সুপার-৮ ফিল¥ বের হলে অ¨ামেচার সিনেমা সেই সাথে পর্ন মুভি আরো বেড়ে যায়। আশির দশকে সংযোজন হয় ভিসিআর, মানুষ বাসায় বসেই পর্ন মুভি দেখার সুযোগ পায়।
সবশেষে বোধ হয় ইন্টারনেট, ইনফরমেশন সুপার হাইওয়ে যে তথ্য ট্রান্সফার করে তার একটা বড় অংশ অশ্লীলতা, নগ্নতা সংক্রান্ত। ইন্টারনেটের কারনে পর্ন এত সহজলভ্য এবং সস্তা যে পর্নের নিষিদ্ধ আকর্ষন অনেকটাই হারাতে বসেছে। স্বাভাবিক প্রশ্ন জাগে অশ্লীলতার এই ব্যপকতা আমাদের জন্য ভালো না খারাপ। প্রকাশ্য ফোরামে আমাদের বেশীরভাগই অবশ্য একপেশে মন্তব্যে ঝাপিয়ে পড়ব, একই সময় হয়তো বªাউজারে অন্য ট্যাবে/উইন্ডোতে পর্ন ডাউনলোড চলছে। যেহেতু দেখতে পাচ্ছি পর্ন ইরোটিকা এরা সভ্যতার চেয়েও পুরোনো, বহু আগে থেকেই আমাদের সাথে আছে, সুতরাং দ্বিচারিতাপ্রবন স্বিদ্ধান্ত নেয়ার আগে আরেকটু ভাবা উচিত।
গত এক দশকে পর্ন এবং সমাজে তার প্রভাব নিয়ে অনেক স্টাডি করা হয়েছে। আশ্চর্য্যজনকভাবে এদের ফলাফল বলে যে পর্ন বা ইরোটিকার চর্চা সমাজে যেŠন অপরাধ কমাতে সাহায্য করে। ষ্ক্যান্ডিনেভিয়া এবং পশ্চিম ইউরোপের দেশ পর্নের ব্যাপারে সবচেয়ে উন্মুক্ত এবং এই দেশগুলোতেই যেŠন অপরাধ সবচেয়ে কম। যারা মাঝে মধ্যে পর্ন দেখে তাদের ওপর গবেষনা করে দেখা যায় এসব দর্শকরা সেক্স নিয়ে কম আগ্রাসী মনোভাবে আক্রান্ত থাকে (Thompson, 1994)। মজার ব্যাপার হচ্ছে ইন্টারনেটে "sex" শব্দটা সবচেয়ে বেশী সার্চ হয় পাকিস্তান থেকে, আর প্রথম দশটি দেশের আটটিই মুসলিম (ক্রমানুসারে পাকিস্তান, মিশর, ভিয়েতনাম, ইরান, মরোককো, ইন্দোনেশিয়া, ভারত, সোদি আরব, তুরষ্ক, মালয়শিয়া)। ভাগ্য ভালো বাংলাদেশ নেই।
তো কথা হচ্ছে সমাজ, রাষ্টª, বিশেষ করে কিছু ধর্ম অশ্লীলতাকে এত বাধা দেয় কেন। আগ্রহ বাড়ানো যদি বাধা দেয়ার উদ্দ্যেশ্য হয় তাহলে অবশ্য অন্য কথা। অনেক সময় ছোট ভাইবোনের অজুহাত এসে যায়, আচ্ছা অশ্লীল ছবি দেখে বা লেখা পড়ে কি বড়রা বখে যেতে পারে না? বড়দের জন্য আমার একটাই উপদেশ practice what you preach। একসময় সমাজের উপরতলার মানুষ সাধারনের মধ্যে পর্ন নিষিদ্ধ করেছিল, কারন তাদের ধারনা ছিল সাধারন এগুলো দেখে বা পড়ে রাষ্টªীয় এবং সামাজিক প্রতিষ্ঠানের ওপর বিশ্বাস হারিয়ে ফেলবে, অথবা বৃত্তের বাইরে চিন্তা করতে শিখে যাবে। দুঃখজনক যে এই বৃত্তবন্দি করার চেষ্টা আজও শেষ হয়েও যেন শেষ হচ্ছে না।
পাঠকদের কাছে প্রশ্ন erotica যথাযথ বাংলা শব্দার্থ কি?
1 Comments:
আমার মনে হয় সব প্রাপ্তবয়স্ক মানুষেরই পর্নোগ্রাফি দেখার এবং না দেখার স্বাধীনতা থাকা উচিত ।
আমি পর্নো দেখব কি দেখব না সেটা সকাল বেলায় পাউরুটি চিনি দিয়ে খাব না জেলি দিয়ে খাব এর মতই ব্যক্তিগত পছন্দ অপছন্দের ব্যাপার ।
পর্নোগ্রাফির মধ্যে খারাপ কিছু নেই যতক্ষন পর্যন্ত না আপনি এটার প্রতি অ্যাডিক্টেড হচ্ছেন ।
তবে বেআইনী পর্নোগ্রাফি যেমন লুকনো ভিডিও এবং শিশু পর্নোগ্রাফি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত ।
Post a Comment
<< Home