বই: দুনিয়া মাতানো বিশ্বকাপ
বইটা এখন হাতের কাছে নেই, যতদুর মনে পড়ে এর লেখকের নাম শামসুজ্জামান খান। লেখাটা প্রথমে পড়েছিলাম ধানশালিকের দেশে ম্যাগাজিনে, পরে যখন বই আকারে প্রকাশ হলো, সাথে সাথেই কিনে ফেলি। মুল বিষরবস্তু ফুটবল বিশ্বকাপ ১৯৮৬। বাসার সবার সাথে খেলাগুলো দেখলেও ফুটবল মনে দাগ কেটেছিল বইটা পড়ে। এরপরের বছরগুলোতে বইয়ের একই লেখা বারবার পড়তে ভালো লাগতো। আর্জেন্টিনা-ইংল্যান্ড কোয়ার্টার ফাইনাল, আর আর্জেন্টিনা-বেলজিয়াম সেমি ফাইনাল অনেকবার দেখেছি, এখনও ভালো লাগে। কারন বোধ হয়, “ম্যারাডোনা“। আরেকটু বড় হয়ে ৯০, ৯৪, ৯৮ বিশ্বকাপ অনেক ভালভাবে দেখেছি, ম্যাথেয়াস, ব্যাজ্জিও, কারেকা, রোমারিও, গুলিট, জিডান আর হালে রোনালডিনহোর খেলা আগ্রহ নিয়ে দেখি, কিন্তু কেউই ম্যারাডোনা নয়। বাংলায় লেখা খেলা নিয়ে ভালো বই বেশী পড়ি নি, এই বইটি সেদিক থেকে অসাধারন। অনেকবার কৌতহুল হয়েছে শামসুজ্জামান খান কি খেলা নিজে মেক্সিকো গিয়ে দেখেছিলেন, না টিভিতে দেখে লিখেছেন, লেখা পড়ে মনে হয় তিনি মেক্সিকো গিয়ে দেখেছেন।
আমি বরাবরই ন্যাচারাল ট্যালেন্টের ভক্ত, এজন্য ল্যাটিন আমেরিকার ফুটবল ভালো লাগে, আর ইউরোপিয়ান ঘরানা বিশেষ করে জার্মানীর খেলা খুবই খারাপ লাগতো। ছকে বাধা রুটিন ফুটবল অসহ্য। যদিও পুরোপুরি আর্জেন্টিনার সাপোর্টার নই, তবে ম্যারাডোনা ভক্ত, তা ব্যাক্তি জীবনে ম্যারাডোনা যেমনই হন না কেন। এবার বিশ্বকাপে আমি ব্রাজিল-আর্জেন্টিনা দুই দলেরই সাপোর্টার, তবে এরা মুখোমুখি হলে কাকে সাপোর্ট করবে এখনও ঠিক করিনি।
বইয়ে ম্যারাডোনার বাইরে ফ্রাëস ব্রাজিলের কোয়ার্টার ফাইনাল বা পুরোনো বিশ্বকাপগু লোর চমত্কার বর্ননা আছে। উত্সাহী শিশু কিশোরদের জন্য আমি রেকমেন্ড করবো।
Original post - http://www.somewhereinblog.net/utsablog/post/12053
0 Comments:
Post a Comment
<< Home