Tuesday, October 17, 2006

ড. ইউনুসের নোবেল পদক নিয়ে দেশবাসী প্রবাসীদের মল্লযুদ্ধ



অনেক খবরই ইদানিং সামহয়্যার থেকে পাই, কিন্তু পরশুদিন সকালে নোবেলের খবরটা পেলাম ইমেইল চেক করতে গিয়ে সবার আগে। ঘুম থেকে উঠে যত ইমেইল গ্রুপের সদস্য ছিলাম সবগুলোতেই দেখি না হলেও দশটা মেইল চালাচালি হয়ে গেছে ড. ইউনুসের নোবেল প্রাপ্তি নিয়ে। ৫/৬বছর ধরেই ড. ইউনুস নোবেল পেতে পারেন বলে অপেক্ষা করছি, ইদানিং তো আশা ছেড়েই দিয়েছিলাম যে আর বোধ হয় হলো না। অর্থনীতিতে পেলে বেশী খুশী হতাম, মনে হতো মেধার মুল্যটা দেয়া হয়েছে, শান্তি কেমন যেমন স্বান্তনা পুরষ্কার মনে হয়। আর অন্য যারা অর্থনীতিতে পায় তারা কি সত্যিই এমন আহামরি কিছু করেছে, যা ড. ইউনুস করেন নি? কে জানে আমার ঠিক বোধগম্য হয় না।

বাঙালী (অথবা হয়তো বাংলাদেশী বাঙালীরা) আবেগপ্রবন জাতি, জগত্টা তার কাছে প্রায়ই একমাত্রিক হয়ে ধরা দেয়। হয় ভালো না হয় খারাপ। তার ওপর ড. ইউনুস নোবেল পেলেন কি না শেষমেশ শান্তিতে। তো কেউ কেবল গ্রামীন ব্যংক, মাইক্রোক্রেডিট সিস্টেমের খারাপ দিকটাই দেখতে পাচ্ছেন, আর অন্যরা এসবকে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ধরে নিয়ে আমলে নিতে চাচ্ছেন না। আরে ভাই ড. ইউনুস তো মাদার তেরেসা নন, উনি ডেজমন্ড টুটুও নন। উনি লঙ্গরখানা খুলে বসেন নি, আর গ্রামীন ব্যাংক কোন চ্যারিটি ফাউন্ডেশনও নয়। গ্রামীন ব্যাংক অন্যান্য সুদখোর ব্যাংকের মতোই একটা ব্যাংক, যা বাংলাদেশ ব্যাংকের আইন অনুযায়ী চলছে, পার্থক্য হচ্ছে তারা এমন লোকজনকে ঋন দেয় যাদেরকে অন্যরা দিত না। ছিন্নমুল, ভুমিহীন এবং মহিলাদের ঋন দেয়ায় অনেক ঝুকি আছে, যেহেতু কোন বন্ধক নেয়া হচ্ছে না আদায়কারীর কাছে সত্যিকার অর্থে খুব কম রাস্তায়ই খোলা আছে। তবে ড. ইউনুসের শেªষ্ঠত্ব ঋন আদান প্রাদানের প্রক্রিয়ায় নয় বরং ঋন দিলে মুলধন পেলে প্রান্তিক মানুষেরাও যে দারিদ্র থেকে বেরিয়ে আসার চেষ্টা করতে পারে, এবং অনেকে সফলও হতে পারে সেখানেই ওনার আইডিয়াটার সাফল্য। আর কেউ দারিদ্রের এরকম সমাধান যে সম্ভব সেটা চিন্তা করেন নি, এখানেই ড. ইউনুসের মৌলিকত্ব। তবে আবারও মনে করিয়ে দিচ্ছি ড. ইউনুসের আইডিয়াটা হচ্ছে ছোট ছোট ঋন দিয়ে দরিদ্রদের একটা সুযোগ দেয়া যে তারা ঐ মুলধন ব্যাবহার করে পর্যায়ক্রমে দারিদ্র থেকে বের হয়ে আসতে পারে কি না, তার আইডিয়া মোটেই দুঃস্থদের মধ্যে সাহায্য বিতরন নয় (নির্বাচন কালে আমাদের সাংসদরা যেটা করেন)। এবং প্রাপ্ত তথ্য থেকে দেখা যাচ্ছে আসলে অনেকে ঋনের সদ্ব্যবহার করে দারিদ্র থেকে অনেকটাই বেরিয়ে আসতে পেরেছে, এরাই সংখ্যাগরিষ্ঠ, তবে ড. ইউনুসের ষ্কুলে খারাপ ছাত্রও আছে, যারা নানা কারনে ঋন নিয়ে শেষমেশ লাভজনক কিছু করতে পারে নি, আরও ঋনের জালে জড়িয়ে পড়েছে। যেহেতু বেশীরভাগই লোকজন শেষ বিচারে এই ঋন ব্যবস্থায় উপকৃত হচ্ছে এবং দারিদ্র দুরীকরনে গ্রামীন ব্যাংকের সাফল্য যথেষ্ট দৃশ্যমান, আমার কাছে ড. ইউনুস শান্তি এবং অর্থনীতি দুটোতেই দুইবার নোবেল পাওয়ার যোগ্য।

তবে এরপরও কথা থাকে। শিবলী নোমান এবং আরও অনেকে গ্রামীন ব্যাংকের ঋন আদায় প্রক্রিয়ার অমানবিক দিক, সুদের উচ্চহার ইত্যাদি তুলে ধরেছেন। আমি জানি না ড. ইউনুস এসব ঘটনাকে কিভাবে দেখেন। ঋন আদায়ে জেলে নেয়া, অত্যাচার এসবকে কোনভাবেই সমর্থন করা যায় না। আমি জানি প্রান্তিক গ্রামবাসীদের কাছ থেকে কেবল বিশ্বাসের ভিত্তিতে দেয়া ঋন আদায়ে সীমাবদ্ধতা আছে, তাই বলে এতটা। এদিক থেকে ব্লগের শক্তি যে কতটা তা প্রমান হলো, সমস্ত পত্র পত্রিকা এখন ইউনুস স্তুতিতে ব্যাস্ত, গ্রামীন ব্যংক এবং তাদের যেসব নিগেটিভ দিক আছে নোবেলের চাপে তা হয়তো অনেক দিনের জন্য ঢাকা পড়ে যাবে। শিবলী ভাইদের কাছে অনুরোধ লেখা এবং তথ্য প্রকাশ থামাবেন না, তা যতই অপ্রিয় হোক, না হলো শোধরানোর সুযোগ যে থাকবে না।

প্রবাসী বাংলাদেশীদের ব্যাপার অবশ্য ভিন্ন, তারা কেউ গ্রামীন থেকে লোনও নেন নাই অথবা গ্রামীনের সুবিধাভোগীও না। বাংলাদেশীরা প্রবাসে আত¥সন্মানের অভাবে ভোগে। আমার মনে আছে আকবর মন্ত্রীর আমলে যখন বেশ কয়েকটা লঞ্চডুবি হলো অফিসে অনেকেই জানতে চাইতো "তোমাদের দেশে খুব ফেরী ডুবে তাই না, কারন কি?", এই প্রশ্ন আর তার উত্তর দেয়া যে কত কষ্টকর ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন। এরপর আসলো বাংলা দাদার ৫০০ বোমা বিস্ফোরন, ভয়ে অফিসের করিডোরে হাটাই বন্ধ করে দিলাম, লোকে এমনভাবে জানতে চাইত ভাবখানা আমিই যেন বোমা মেরেছি। তো যাই হোক এই একবার সুযোগ পেয়েছি, মাথা উচু করে বলার, আমাদের দেশ থেকে নোবেল পেয়েছে, চুলোয় যাক গ্রামীন বাস্তবে দরিদ্রদের ওপর অত্যাচার করছে কি করছে না। আমার মতো বেশীর ভাগ প্রবাসী এজন্য এমুহুর্তে ড. ইউনুসের কোন সমালোচনা সহ্য করতে নারাজ।

আমার মনে হয় ব্লগে আমরা পক্ষে বিপক্ষে লিখছি এটার ভালো দিকই বেশী। অনেক তথ্য জানা হচ্ছে শুধু তাই নয়, মাইক্রোক্রেডিটের সত্যিকার চিত্রটা ¯úষ্ট হয়ে আসছে। এরশাদ আমলে একবার বিকেএসপি ডানা কাপ, গোথিয়া কাপ জিতে এমন পরিস্থিতি তৈরী হয়েছিল আমরা ভেবেছিলাম ফুটবলে বিশ্বকাপ আর দুরে নেই, ব্লগের সমালোচনা আশা করি ড. ইউনুস ও মাইক্রোক্রেডিট প্রসঙ্গে এরকম পচা শামুকে পা কাটার হাত থেকে রক্ষা করবে।

একটা ব্যাপার খেয়াল করেছেন অনেক ইসলামী ব্লগার কিন্তু ড. ইউনুসকে অভিনন্দন জানাচ্ছে না। বোধকরি সুদ ইসলামে হারাম বলে হয়তো, আর ড. ইউনুসের তত্ত্ব তো পরিবর্তিত সুদখোরী তত্ত্বই আলটিমেটলী। তবে মোল্লা মিলেনিয়াম মজিদরা কিন্তু এই সুযোগে ইউনুসের পক্ষ নিচ্ছে, হয়তো ওদের ইসলামে সুদ খাওয়া জায়েজ, কে জানে?

Thursday, October 12, 2006

মানুষ খেকো মানুষ

অনেক আগে বিটিভিতে একসময় টারজান দেখাতো, মনে আছে শুক্রবার দুপুরে সবাই আগ্রহ নিয়ে টারজানের কাজকর্ম দেখতাম। প্রায়ই দেখা যেত টারজান বা তার বন্ধুবান্ধবদেরকে জংলীরা ধরে বিশাল হাঁড়িতে রান্নার আয়োজন করছে। টারজান অবশ্য শেষমেশ দলবলসহ পার পেয়ে যেত জংলীদেরকে উচিত শিক্ষা দিয়ে। তবে শুধু টারজানের গল্প নয়, আরো অনেক কাহিনীতে মানুষ মানুষের মাংস খাচ্ছে এরকম বিবরন আছে। যতদুর মনে পড়ে রবিনসন ক্রুসো , তারপর প্রবাল দ্বীপ এসব গল্পে মানুষ খাওয়ার বর্ণনা আছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে আসলেই কি মানুষ মানুষকে খায়, না কি এসবই লেখকদের বানানো কল্পনা। মানুষ খাওয়ার সত্যিকার প্রমান আছে কি না? আর খেলে কারা খায়, কেন?

গল্প কাহিনীতে যেমনই লাগুক, বাস্তবে কেউ আরেকজন মানুষের র মাংস খাচ্ছে শুনলেই আমাদের বিবমিষা আসে, নিজেরা এরকম কাজে অংশগ্রহনের প্রশ্নই আসে না। তবে বাস্তবতা অবশ্য ভিন্ন তথ্য দিচ্ছে। পাপুয়া নিউ গিনির দক্ষিন ফোর এলাকার লোকেরা ৭০ এর দশকেও মানুষ মানুষকে খেতো। অস্ট্রেলিয়ার সরকার নিষিদ্ধ ঘোষনার আগ পর্যন্ত, ওরা ওদের গ্রামের কেউ মারা গেলে তাদেরকে রান্না করে খেয়ে ফেলতো। বানিয়ে বলছি না পাপুয়া নিউ গিনির মানুষখেকোদের নিয়ে অনেক প্রবন্ধ, রিসার্চ পেপার আছে, ইন্টারনেটে খুজলেই পাবেন। অনেক সময় আশে পাশের গোষ্ঠির সাথে যুদ্ধে শত্রুপক্ষের যারা মারা যেত বা বন্দী হতো তাদেরকে খাওয়ার প্রথা ছিল। তবে অস্ট্রেলীয় সরকার কেন এই প্রথা নিষিদ্ধ করল তার কারন ভিন্ন। ষাটের দশকে নিউগিনির এসব লোকদের মধ্যে "কুরু" (অথবা laughing sickness ) ভীষনভাবে ছড়িয়ে পড়ে। কুরু রোগে আক্রান্তদের প্রথমে নড়াচড়া, কথা বলায় সমস্যা হতে থাকে, এক পর্যায়ে তারা হাটা চলার সামর্থ্য হারিয়ে ফেলে, শেষমেশ মারা যায়। রোগটার কারন ঠিক পরিষ্কার ছিল না, তবে বোঝা যাচ্ছিল যে সব এলাকায় মানুষখেকো প্রথা আছে সে সব এলাকায় রোগের প্রকোপ বেশী। ৭০ দশকে এক পর্যায়ে অস্ট্রেলীয় সরকার মানুষ খাওয়া ব্যান করে দেয়, এর পরপরই রোগের প্রকোপ বন্ধ হয়ে যায়।

পাপুয়া নিউ গিনির এসব জাতি ছাড়া অস্ট্রেলীয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় এলাকায় নিকট অতীতে মানুষ খাওয়ার প্রবনতা ছিল। যুক্তরাষ্টেªর অ¨ারিজোনা, নিউ মেক্সিকো এলাকায় আনাসাজি নেটিভ আমেরিকানরা (অথবা রেড ইন্ডিয়ানরা) কিছুকাল আগেও উত্সব ও অন্যান্য উপলক্ষে মানুষ খেতো তার প্রত্নতাত্বিক প্রমান আছে। তবে বিজ্ঞানীরা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই এসব উদাহরনকে ইতিহাসের বিচ্ছিন্ন ঘটনা বলে উল্লেখ করতে পছন্দ করতেন। গোল বাধলো বৃটেনে ম্যাড কাউ রোগের বিস্তারের গবেষনা করতে গিয়ে। ম্যাড কাউ এবং নিউ গিনির কুরু রোগের লক্ষন এবং পরিনতি তে মিল আছে। কিন্তু ম্যাডকাউ বিস্তার লাভ করে আক্রান্ত গরুর মগজ খেলে।

ম্যাডকাউ হতে পারে যদি আক্রান্ত গরু থেকে প্রিয়ন(একরকম সংক্রামক প্রোটিন) খাবারের মাধ্যমে ছড়িয়ে মস্তিষ্ককে আক্রমন করে। জেনেটিক গবেষনায় দেখা যায় বেশীরভাগ মানুষের মধ্যেই এই প্রিয়নের হাত থেকে রক্ষার জন্য একরকম প্রতিষেধক জিন আছে। যাদের নেই তারাই শুধু ম্যাডকাউ রোগে আক্রান্ত হয়, এজন্য বৃটেনের ৫ কোটি লোকের মধ্যে মাত্র শখানেক এই রোগে আক্রান্ত হয়েছে। নিউগিনিতে যখন মানুষখেকো প্রথা ছিল তখনকার যারা কুরুতে মানুষ খাওয়ার পরও আক্রান্ত হয় নি (এখনও এরা বেচে আছে) তাদের জিন পরীক্ষা করে দেখা যায় এদের মধ্যেও সেই একই প্রতিষেধক জিন আছে (এজন্যই মানুষ খেয়েও তারা কুরুতে আক্রান্ত হয় নি)।

এখন প্রশ্ন হচ্ছে নিউ গিনিতে যারা মানুষ খায় তাদের না হয় এসব জিনের দরকার আছে, কিন্তু পৃথিবীব্যপী আমাদের সবার মধ্যে এই জিনের উপস্থিতি কেন? আমরা তো মানুষ খাই না। যেসব জিন ব্যবহার হয় না তারা সাধারনভাবে সময়ের সাথে সাথে হারিয়ে যায় (যেমন জেনেটিক ডিªফট)। যেহেতু ম্যাড কাউ বা এ ধরনের রোগ খুব কম জায়গায় বিস্তার লাভ করে তাই ম্যাড কাউ এধরনের রোগ প্রতিরোধে এসব জিন আমাদের মধ্যে আছে তার সম্ভাবনা বেশ কম। পুরো পৃথিবীতে জাতি বর্ন নির্বিশেষে (কেবল জাপানীজরা ছাড়া, তাদের অন্য জিন আছে) সবার মধ্যে কুরু জাতীয় রোগ প্রতিরোধী জিনের উপস্থিতির আর একটাই কারন হতে পারে যে, আমাদের পুর্বপুরুষরা নিকট অতীতেও (যেমন ১৫,০০০ বছর আগে) মানুষের মাংস খেতো। ক্যানিবালিজমের চর্চা আমাদের মধ্যে ভালোভাবেই ছিল, যদিও এখন মেনে নিতে কষ্ট হয়। আসলে আমাদের ভেতরের ক্যানিবাল মানুষটা এখনও ঠিক মরে যায় নি, সংষ্কার আর সভ্যতার চাপে আপাতত লুকিয়ে আছে। তো মানুষ খেকো মানুষ কারা? এক অর্থে সুযোগ পেলে আমরা সবাই

Thursday, October 05, 2006

দিনকাল.২: বৈদ্যুতিক বিস্ফোরন, সংলাপ, বোরাট এবং Camel Toe

বিদ্যুতের দাবিতে গত সপ্তাহে বেশ ভালো ভাংচুর, আন্দোলন হল ঢাকায়। সব পত্রিকায়ই ফলাও করে লিখেছে। তবে বাঙালী ভুলোমনা, শীতকালে কারেন্টের দরকার কম, ইলেকশন আসতে আসতে বিদ্যুতের সমস্যার কথা ভুলে যাওয়ার কথা। আসলে বাংলাদেশে সংবিধানে যথেষ্ট চেক এ্যান্ড ব্যালান্সের ব্যবস্থা নেই, এ কারনে যে দলই আসে তারা পাচ বছরের জন্য জমিদারী পেয়ে বসে। নির্বাচন চার বছর পর পর করা উচিত আর সিনেট/কংগ্রেসের মতো দুকক্ষ থাকা উচিত যাতে প্রতি দুবছরেই কোন না কোন নির্বাচন থাকে। তাহলে সরকার তার পারফরম্যান্স কেমন হচ্ছে তার একটা ধারনা পাবে।

সংলাপ শেষমেশ শুরু হলো। সমাধান কতদুর হবে বোঝা মুষ্কিল, তবে মনে হয় এবার কিছু অগ্রগতি হলে হতে পারে। না হলে দেশের অবস্থা ঠিক কোন দিকে যাবে তা নিয়ে চিন্তিত হতে হয়। একদিক থেকে সংলাপ দেরীতে হয়েই ভালো হলো, আগে হলে দুদলই এর রেশ টানতে চাইত, এখন যেহেতু হাতে সময় নেই তাড়াতাড়ি ফলাফল পাওয়া যাবে।

পাকিস্তানের মোশাররফ তো এদিকে বই টই লিখে, সাক্ষাত্কার দিয়ে তুলকালাম কান্ড করছে। ঠিক কি মতলব আছে লোকটার বোঝা কঠিন। এই নিয়ে যুক্তরাষ্টেª হাস্যরস কম হচ্ছে না।

জাতিসংঘের স‡¤§লনের সাথে তাল মিলিয়ে কাজাখস্থান নিয়ে চরম তামাশা করছে একটি মুভি বোরাট (নভেম্বরে বের হওয়ার কথা)। এই সাইটে অনেক তথ্য আছে বোরাট নিয়ে - http://www.boratonline.co.uk। হাসতে হাসতে পেট ফাটার মতো অবস্থা বোরাটের কাজকর্ম দেখে। হাতে সময় থাকে ভিডিওগুলো দেখুন। বোরাটের কাজকর্মে কাজাখস্থানের এমন দুর্নাম হচ্ছে যে ঐ দেশের সরকার এখন পয়সা খরচ করে যুক্তরাষ্টেªর পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে দেশের মান ইজ্জত রক্ষার চেষ্টা করছে। এই বৃটিশ কমেডিয়ান এর আগে আরো দু-একটি দেশকে পঁচিয়ে এরকম ফিল¥ তৈরী করেছে। কে জানে কবে আবার বাংলাদেশকে ধরে, দেশের ভাবমুর্তির এমনিতেই যে দশা, বোরাটের পাল্লায় পড়লে মান সন্মান নিয়ে চলা ফেরা করতে কষ্ট হবে।

উটের পায়ের আঙ্গুল তবে সপ্তাহের সবচেয়ে মজার আবিষ্কার বোধহয় Beach Boys এর ৮০র দশকের গান Kokomo ইউ টিউব প্যারোডি http://www.youtube.com/watch?v=hew6WPys8iQ। ষ্কুলে থাকতে গানটা খুব প্রিয় ছিল, কারা যেন ক্যামেল টো বানিয়ে ছেড়েছে এটাকে। আসলে এখানকার বাঙালী মেয়ে মহলে একজনের কাছে ঘটনাটা শুনলাম, ওদের অনেকে গ্র্যাড ষ্কুলে যায়, তো এরকম একজনের ক¬াসে শিক্ষিকা এসেছেন এমন আটোসাটো প্যান্ট পড়ে যে তার ক্যামেল টো পরিষ্কার দেখা যাচ্ছিল। হাসির ঘটনাটা শুনে বাসায় এসে ভাবলাম ক্যামেল টো ব্যপারটা নিয়ে একটু ঘেটে দেখি, সেখান থেকেই ইউ টিউবের প্যারোডি আবিষ্কার করলাম। দেশের মেয়েরা অবশ্য সালোয়ার কামিজ পড়ে তাই ক্যামেল টো দেখা সহজ না। বিশ্ববিদ্যালয়ে থাকতে আমাদের ক¬াসের দুএকজন নিতম্বীনি বসা থেকে উঠে দাড়ালে নিতম্বের খাজে কাপড় ঢুকে থাকতো, এই নিয়ে তখন অনেক হাসাহাসি করেছি। ভাবছি সামনে ক্ষেত্রে যদি ক্যামেল টো হয় পেছনের জন্য কি হবে, এ্যালিফ্যান্ট টো মনে হয় না ... ভাবতে হবে
eXTReMe Tracker