Coolness factor
গত বছর ক্রিসমাসের সময় যুক্তরাষ্ট্রের সফটওয়্যার কম্পানী মাইক্রোসফট একটা পোর্টেবল মিডিয়া ডিভাইস নিয়ে আসে বাজারে৷ আমি জানি না আপনারা নাম শুনেছেন কি না, Zune৷ এই মার্কেট টা আগে থেকেই এপল তার আইপড দিয়ে দখল করে রেখেছিল৷ সম্ভবত মাইক্রোসফটের একটা চেষ্টা ছিল এপলের শেয়ারে ভাগ বসানোর৷ কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স মার্কেটে এমনিতেই প্রতিযোগিতা মারাত্মক৷ মাইক্রোসফটের দুর্ভাগ্য জুন সুবিধা করতে পারে নি, যদিও দামের তুলনায়, একই ধরনের অন্যান্য ডিভাইসের চেয়ে সুযোগ সুবিধা খানিকটা বেশীই ছিল জুনে৷ বিশেষ করে Wi-fi কানেক্টিভিটি৷ ইলেকট্রনিক্স নিয়ে ম্যাগাজিন, ব্লগ বা নানারকম টেক ফোরামে জানুয়ারীর দিকে আলোচনা চলতো জুন এতটা ফ্লপ করলো কেন৷ বিশাল পরিমান মিডিয়া ক্যাম্পেইন করা হয়েছিল জুনের জন্য, রিলিজের আগে, কিন্তু কাজ হয় নি৷
আসলে মব সাইকোলজি বেশ জটিল৷ ভালো হওয়াটাই যথেষ্ট নয় (জুন ভালো কিনা সেটা উহ্য রেখে)৷ পাব্লিক এডপশনের জন্য আরেকটা গুরুত্বপুর্ন উপাদান আছে৷ আমি ঠিক মনে করতে পারছি না Cool এর যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ কি হতে পারে? কোন কনজিউমার আইটেম থেকে শুরু করে গান, টিভি সিরিজ, মতবাদ এসবের জনপ্রিয়তার পেছনে coolness factor কে ঠিক উপেক্ষা করা যায় না৷ ভালো হলেই আসলে ভালোবাসা পাওয়া যায় না৷ ভালো হওয়ার সাথে সাথে ফ্যাশনেবল হওয়া জরুরী৷
এই যেমন ব্লগে এরকম আলোচনা দেখেছি শিবিরের attrition এত বেশী কেন৷ ছোট বাচ্চারা বড় হয়ে কেন শিবির ছেড়ে যায়, এত সুযোগ সুবিধা দেয়ার পরও৷ হয়তো প্রত্যেকের জন্য আলাদা কারন দেখানো যেতে পারে৷ কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয়, শিবির নানাভাবে বাচ্চাদেরকে সাহায্য করলেও শিবিরের coolness এর বড় অভাব৷ স্রেফ একটা জিন্স প্যান্টের coolness-ও শিবিরের চেয়ে বেশী৷ হয়তো প্রচ্ছন্ন এই coolness এর ঘাটতি শিবির ছাড়তে সাহায্য করে (? মতামত দিন)৷
আরেকটা কৌতুহল আমার, ঢাকায় একদশক আগে আমরা বিদায় নেয়ার সময় বলতাম “খোদা হাফেজ”, কিভাবে যেন এখন “আল্লাহ হাফেজ” টাই বেশী প্রচলিত মনে হয়৷ আল্লাহ হাফেজ কি বেশী cool? স্কার্ফ পড়া মেয়েদের সংখ্যা যে বেড়েছে এটা আরো অনেকের মুখে শুনেছি, coolness anyone? তবে এর বাইরেও আছে৷ আমাদের সময় মেটাল গান শোনা ছিল কুল৷ হিন্দী শব্দ “ঝাক্কাস” বা বন্ধুদের আড্ডায় এসবের ব্যবহার হয়তো cool? ঝাক্কাস মানেই মনে হয় cool৷ যখন যেটা ফ্যাশনেবল, দোষের কিছু নেই৷
“মুক্তিযুদ্ধ” কি তার coolness হারিয়েছে কোনভাবে? মুক্তিযুদ্ধের সাথে আদৌ coolness এর সম্পর্ক আছে কি না৷ ওইদিন তো একজনের প্রশ্নের উত্তরে জানালাম আমাদের পরিবারের অনেকে মুক্তিযোদ্ধা, আগারতলা মামলার আসামীসহ৷ কিন্তু আরো আত্মীয় স্বজন আছে৷ দক্ষিনবঙ্গের তখনকার একজন নামকরা মুসলিম লীগ নেতা, রাস্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও আমাদের আত্মীয়৷ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মারা না পড়লে এতদিনে বিএনপির উপরের সারির নেতা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল৷ তো তার ১৮-১৯ বছরের ভাতিজা ৭১ এর জুন-জুলাইয়ের দিকে পাক বাহিনীর লঞ্চ রেইডের সময় মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে ধরা পড়ে৷ পাক আর্মির সাথে থাকা রাজাকারদের কারনে বাকী মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের তখনই মেরে ফেলা হলেও ভাতিজা তখনকার মতো বেচে যান, কয়েক ঘন্টার জন্য আসলে৷ লঞ্চের কোথাও লুকানো অস্ত্র ছিল, ভাতিজা ওখান থেকে অস্ত্র এনে আর্মির যে কমান্ডার (ক্যাপ্টেন, মেজর এরকম কিছু) ছিল তাকে গুলি করে পানিতে ঝাপ দেয়৷ তবে কতক্ষন আর ডুবে থাকা যায়, লঞ্চে ওপর থেকে সৈন্যদের গুলিতে ভাতিজা নিহত হন৷ বহুবার নানা বাড়ীতে গিয়ে এই কাহিনী শুনেছি, নানাজনে নানাভাবে এদিক সেদিক করে বলেছে৷ গোড়া পাকিস্তান পন্থী পরিবারে বড় হওয়া ১৮-১৯ বছরের যে ছেলে এই কান্ড করলো, সে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, দেশের জন্য মহান দ্বায়িত্ববোধ থেকে একাজ করেছে, আমার কাছে একটু বেশী বেশী মনে হয়৷ ১৫-২০ বছর বয়সী আর যে কয়জন মুক্তিযোদ্ধাকে চিনি, তাদের সবার ক্ষেত্রেই আমার গাঢ় বিশ্বাস মুক্তিবাহিনীর coolness টাই বড় ছিল৷
এখন যখন দেখি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মরচে ধরেছে৷ জোর করে গিলিয়ে দিতে হচ্ছে লোকজনকে, তখন সন্দেহ হয় মুক্তিযুদ্ধ বোধ হয় আর ফ্যাশনেবল নেই, সামি ইউসুফের গান এখন মুক্তিযুদ্ধের ডাকের চেয়ে বেশী cool৷ এই সমস্যা সমাধানের দায় আমাদেরই৷ মুক্তিযুদ্ধকে ফ্যাশন হিসেবে ধরে রাখতে পারি নি এজন্য মুক্তিযুদ্ধ পিছনে পড়ে গিয়েছে, ঠিক এজন্যই অনেকে বলার সুযোগ পায় ৩০ বছর পেছনে গিয়ে লাভ কি, আসুন সামনে তাকাই৷ গাছের পাতা দেখে বোঝা মুষ্কিল তার মুলটা কোথায়, কিন্তু মাঝে মাঝে সমস্যার মুলে যাওয়ার চেষ্টাটা বোধ হয় করা উচিত৷
আসলে মব সাইকোলজি বেশ জটিল৷ ভালো হওয়াটাই যথেষ্ট নয় (জুন ভালো কিনা সেটা উহ্য রেখে)৷ পাব্লিক এডপশনের জন্য আরেকটা গুরুত্বপুর্ন উপাদান আছে৷ আমি ঠিক মনে করতে পারছি না Cool এর যথাযথ বাংলা প্রতিশব্দ কি হতে পারে? কোন কনজিউমার আইটেম থেকে শুরু করে গান, টিভি সিরিজ, মতবাদ এসবের জনপ্রিয়তার পেছনে coolness factor কে ঠিক উপেক্ষা করা যায় না৷ ভালো হলেই আসলে ভালোবাসা পাওয়া যায় না৷ ভালো হওয়ার সাথে সাথে ফ্যাশনেবল হওয়া জরুরী৷
এই যেমন ব্লগে এরকম আলোচনা দেখেছি শিবিরের attrition এত বেশী কেন৷ ছোট বাচ্চারা বড় হয়ে কেন শিবির ছেড়ে যায়, এত সুযোগ সুবিধা দেয়ার পরও৷ হয়তো প্রত্যেকের জন্য আলাদা কারন দেখানো যেতে পারে৷ কিন্তু আমার কেন যেন মনে হয়, শিবির নানাভাবে বাচ্চাদেরকে সাহায্য করলেও শিবিরের coolness এর বড় অভাব৷ স্রেফ একটা জিন্স প্যান্টের coolness-ও শিবিরের চেয়ে বেশী৷ হয়তো প্রচ্ছন্ন এই coolness এর ঘাটতি শিবির ছাড়তে সাহায্য করে (? মতামত দিন)৷
আরেকটা কৌতুহল আমার, ঢাকায় একদশক আগে আমরা বিদায় নেয়ার সময় বলতাম “খোদা হাফেজ”, কিভাবে যেন এখন “আল্লাহ হাফেজ” টাই বেশী প্রচলিত মনে হয়৷ আল্লাহ হাফেজ কি বেশী cool? স্কার্ফ পড়া মেয়েদের সংখ্যা যে বেড়েছে এটা আরো অনেকের মুখে শুনেছি, coolness anyone? তবে এর বাইরেও আছে৷ আমাদের সময় মেটাল গান শোনা ছিল কুল৷ হিন্দী শব্দ “ঝাক্কাস” বা বন্ধুদের আড্ডায় এসবের ব্যবহার হয়তো cool? ঝাক্কাস মানেই মনে হয় cool৷ যখন যেটা ফ্যাশনেবল, দোষের কিছু নেই৷
“মুক্তিযুদ্ধ” কি তার coolness হারিয়েছে কোনভাবে? মুক্তিযুদ্ধের সাথে আদৌ coolness এর সম্পর্ক আছে কি না৷ ওইদিন তো একজনের প্রশ্নের উত্তরে জানালাম আমাদের পরিবারের অনেকে মুক্তিযোদ্ধা, আগারতলা মামলার আসামীসহ৷ কিন্তু আরো আত্মীয় স্বজন আছে৷ দক্ষিনবঙ্গের তখনকার একজন নামকরা মুসলিম লীগ নেতা, রাস্ট্রপতি আব্দুর রহমান বিশ্বাসের ঘনিষ্ঠ বন্ধুও আমাদের আত্মীয়৷ মুক্তিযোদ্ধাদের হাতে মারা না পড়লে এতদিনে বিএনপির উপরের সারির নেতা হওয়ার সম্ভাবনা ছিল৷ তো তার ১৮-১৯ বছরের ভাতিজা ৭১ এর জুন-জুলাইয়ের দিকে পাক বাহিনীর লঞ্চ রেইডের সময় মুক্তিবাহিনীর সদস্য হিসেবে ধরা পড়ে৷ পাক আর্মির সাথে থাকা রাজাকারদের কারনে বাকী মুক্তিবাহিনীর সদস্যদের তখনই মেরে ফেলা হলেও ভাতিজা তখনকার মতো বেচে যান, কয়েক ঘন্টার জন্য আসলে৷ লঞ্চের কোথাও লুকানো অস্ত্র ছিল, ভাতিজা ওখান থেকে অস্ত্র এনে আর্মির যে কমান্ডার (ক্যাপ্টেন, মেজর এরকম কিছু) ছিল তাকে গুলি করে পানিতে ঝাপ দেয়৷ তবে কতক্ষন আর ডুবে থাকা যায়, লঞ্চে ওপর থেকে সৈন্যদের গুলিতে ভাতিজা নিহত হন৷ বহুবার নানা বাড়ীতে গিয়ে এই কাহিনী শুনেছি, নানাজনে নানাভাবে এদিক সেদিক করে বলেছে৷ গোড়া পাকিস্তান পন্থী পরিবারে বড় হওয়া ১৮-১৯ বছরের যে ছেলে এই কান্ড করলো, সে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে, দেশের জন্য মহান দ্বায়িত্ববোধ থেকে একাজ করেছে, আমার কাছে একটু বেশী বেশী মনে হয়৷ ১৫-২০ বছর বয়সী আর যে কয়জন মুক্তিযোদ্ধাকে চিনি, তাদের সবার ক্ষেত্রেই আমার গাঢ় বিশ্বাস মুক্তিবাহিনীর coolness টাই বড় ছিল৷
এখন যখন দেখি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় মরচে ধরেছে৷ জোর করে গিলিয়ে দিতে হচ্ছে লোকজনকে, তখন সন্দেহ হয় মুক্তিযুদ্ধ বোধ হয় আর ফ্যাশনেবল নেই, সামি ইউসুফের গান এখন মুক্তিযুদ্ধের ডাকের চেয়ে বেশী cool৷ এই সমস্যা সমাধানের দায় আমাদেরই৷ মুক্তিযুদ্ধকে ফ্যাশন হিসেবে ধরে রাখতে পারি নি এজন্য মুক্তিযুদ্ধ পিছনে পড়ে গিয়েছে, ঠিক এজন্যই অনেকে বলার সুযোগ পায় ৩০ বছর পেছনে গিয়ে লাভ কি, আসুন সামনে তাকাই৷ গাছের পাতা দেখে বোঝা মুষ্কিল তার মুলটা কোথায়, কিন্তু মাঝে মাঝে সমস্যার মুলে যাওয়ার চেষ্টাটা বোধ হয় করা উচিত৷
1 Comments:
See hot Mobile video --
Bangla Mobile Video
Indian Mobile Video
Hot Mobile Video
Pakistani Mobile Video
XXXXX Mobile Video
Deshi Mobile Video
Real Mobile Video
Adult Mobile Video
Post a Comment
<< Home