লাইফ হ্যাকিং
এই সংখ্যা টাইম ম্যাগাজিনে পড়লাম লেখাটা৷ এর আগেও অল্পবিস্তর শুনেছি৷ হ্যাকিং শব্দটা অবশ্য Geek (এগুলোর বাংলা করা হয়েছে কখনো?) জগতে অনেক আগে থেকে পরিচিত৷ মোটামুটি মানে হচ্ছে দুর্বোধ্য কোন সমস্যার শর্টকাট বের করা৷ অথবা বাইরে থেকে সমস্যার সাময়িক সমাধান বের করা৷ অনেক সময় নিগেটিভ অর্থে ব্যবহার হয়৷
টেক ওয়ার্ল্ডে জীবনের দর্শন বেশ পাল্টে গেছে৷ আসলে কথাটা একটু ভুল হলো৷ বলতে গেলে সব জায়াগাতেই পাল্টে গেছে, আরো যাচ্ছে৷ এক জেনারেশন আগে আমার বাবা-মা তাদের বিশের বা ত্রিশের কোঠায় যেভাবে দেখতেন এখন আর সেরকম সুযোগ নেই৷ আমাদের এখানে এখন যেমন দেখি৷ সুখের সাথে সাফল্যের জন্য চেষ্টা বেশী৷ হয়তো সুখ একমাত্র টার্গেট না এখন৷ নিরন্তর self improvement এর চেষ্টা, নিজেকে পার হয়ে যাওয়ার যে ভীষন প্রেরনা এটা আমার বাবা-মার সময়ে তাদের মধ্যে এমন ভাবে ছিল না৷ বিশেষ করে সিলিকন ভ্যালীতে এটা এখন একটা রোগ, অথবা ডিজিটাল সাবকালচার৷
ওখানে যেমন কয়েকটা বুদ্ধি দেওয়া আছে, ঘন্টায় একবারের বেশী ইমেইল চেক না করা অথবা মিটিং এ বসার ব্যবস্থা না করে লোকজনকে দাড় করিয়ে রাখা ইত্যাদি৷ তবে ইমেইল বা ইন্সট্যান্ট মেসেজিং যে মনোসংযোগ নষ্ট করে এটা আরো কয়েকবছর ধরে আমি লক্ষ্য করছি৷ ফোন আসলে যেমন আমার মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়৷ আমি ইদানিং যেটা করি, কিছুক্ষন কাজ করি, যেমন আধাঘন্টা তারপর ৫ মিনিট ব্রেক নেই৷ হয়তো কফি খাই নাহলে ইন্টারনেট ঘাটি, যেমন সচলায়তন পড়ি৷ নাহলে দিনে ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করাটা কঠিন হয়ে দাড়ায়৷ লাইফ হ্যাকিং এর একটা মুল টার্গেট মনে হয় efficiency৷ ১২ ঘন্টা কাজের চেয়ে বড় লক্ষ্য মনে হয় ১২ ঘন্টার আনুপাতিক throughput৷ সবচেয়ে কঠিন অবশ্য সৃষ্টিশীলতা ধরে রাখা৷ দিন শেষে পরিশ্রান্ত হয়ে সবকিছুই হ্যাক করতে মন চায়৷
যাহোক সকাল বেলা ব্লগ লিখে মাথা গোলমাল করতে চাই না৷ লাইফ হ্যাকিং নিয়ে অনেক ওয়েবসাইট, ব্লগ আছে, টায়ার্ড লাগলে ঘুরে দেখতে পারেন৷
টেক ওয়ার্ল্ডে জীবনের দর্শন বেশ পাল্টে গেছে৷ আসলে কথাটা একটু ভুল হলো৷ বলতে গেলে সব জায়াগাতেই পাল্টে গেছে, আরো যাচ্ছে৷ এক জেনারেশন আগে আমার বাবা-মা তাদের বিশের বা ত্রিশের কোঠায় যেভাবে দেখতেন এখন আর সেরকম সুযোগ নেই৷ আমাদের এখানে এখন যেমন দেখি৷ সুখের সাথে সাফল্যের জন্য চেষ্টা বেশী৷ হয়তো সুখ একমাত্র টার্গেট না এখন৷ নিরন্তর self improvement এর চেষ্টা, নিজেকে পার হয়ে যাওয়ার যে ভীষন প্রেরনা এটা আমার বাবা-মার সময়ে তাদের মধ্যে এমন ভাবে ছিল না৷ বিশেষ করে সিলিকন ভ্যালীতে এটা এখন একটা রোগ, অথবা ডিজিটাল সাবকালচার৷
ওখানে যেমন কয়েকটা বুদ্ধি দেওয়া আছে, ঘন্টায় একবারের বেশী ইমেইল চেক না করা অথবা মিটিং এ বসার ব্যবস্থা না করে লোকজনকে দাড় করিয়ে রাখা ইত্যাদি৷ তবে ইমেইল বা ইন্সট্যান্ট মেসেজিং যে মনোসংযোগ নষ্ট করে এটা আরো কয়েকবছর ধরে আমি লক্ষ্য করছি৷ ফোন আসলে যেমন আমার মেজাজটা খারাপ হয়ে যায়৷ আমি ইদানিং যেটা করি, কিছুক্ষন কাজ করি, যেমন আধাঘন্টা তারপর ৫ মিনিট ব্রেক নেই৷ হয়তো কফি খাই নাহলে ইন্টারনেট ঘাটি, যেমন সচলায়তন পড়ি৷ নাহলে দিনে ১২-১৪ ঘন্টা কাজ করাটা কঠিন হয়ে দাড়ায়৷ লাইফ হ্যাকিং এর একটা মুল টার্গেট মনে হয় efficiency৷ ১২ ঘন্টা কাজের চেয়ে বড় লক্ষ্য মনে হয় ১২ ঘন্টার আনুপাতিক throughput৷ সবচেয়ে কঠিন অবশ্য সৃষ্টিশীলতা ধরে রাখা৷ দিন শেষে পরিশ্রান্ত হয়ে সবকিছুই হ্যাক করতে মন চায়৷
যাহোক সকাল বেলা ব্লগ লিখে মাথা গোলমাল করতে চাই না৷ লাইফ হ্যাকিং নিয়ে অনেক ওয়েবসাইট, ব্লগ আছে, টায়ার্ড লাগলে ঘুরে দেখতে পারেন৷
2 Comments:
অসাধারন, খুব ভালো লাগলো। অনেক দিন পর এমন কিছু পড়ার সুযোগ হল। আশা করি এমন অনেক লেখা আমরা পাবো আপনার কাছ থেকে।
আমাদের দেশ হল নদী প্রধান। সেই কারনে আমাদের প্রিয় খাবার মাছ। মাছ ছাড়া আমাদের চলেই না। কিন্তু আজ কাল তাজা মাছ পাওয়া যায় না। সবাই অনেক সময় তাজা বা টাটকা এবং ফরমালিন মুক্ত মাছ খোঁজ করেন। ফরমালিন মুক্ত মাছ, তাজা সামুদ্রিক মাছ, গলদা চিংড়ি, চিংড়ি, তাজা জল-মাছ, কাঁকড়া, ইত্যাদি দরণের মাছ খোঁজ পেতে পারেন। তাহলে ভিজিট করুন freshfishbd.
Post a Comment
<< Home