সুন্দর মুখের জয় সর্বত্র, কিন্তু কেন ...
কাছাকাছি আরেকটা প্রচলিত বাংলা বাক্য "কালো মেয়ে কেন ভালো লাগে না", আমাদের সমাজে প্রায়ই কালো আর অসুন্দর সমার্থক বোঝায়। যদি তাই হয় তাহলে আরো পরিষ্কার করে লিখি "অসুন্দর মেয়ে কেন সুন্দর লাগে না"। এবার বোধ হয় প্রশ্নের মধ্যেই উত্তর আছে, যা অসুন্দর তা কেন সুন্দর লাগবে? যতই নির্মম শোনাক এটা সত্য যে সুন্দরের বিচারে আমাদের চেহারায় তারতম্য আছে, প্রকৃতির মহা অন্যায়, কেউ কেউ না চাইতেই সুন্দর। কেন কিছু কিছু চেহারা আমাদের চোখে সুন্দর দেখায় আর অন্যদেরকে দেখায় না, তার কারন খুজতে গেলে আমাদের মনের গভীরে সুন্দরের সংজ্ঞা আসলে কি জানা দরকার।
কখনও কি মনে হয়েছে একই খাবার ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখলে চরম লোভনীয় মনে হয় অথচ ভরপেটে দেখলে কোন আগ্রহই কেন উদ্রেক করে না? আমরা ভাবি পেট খালি থাকলেই ক্ষুধা লাগে, মোটামুটি ভাবে ব্যাপারটা তাই হলেও সম্পর্কটা এত সরলরৈখিক না। ক্ষুধার পেছনে দায়ী হরমোন হলো Ghrelin , রক্তে এই হরমোন বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে ক্ষুধার অনুভুতি হয়, তখন খাবার দেখলেই লোভ লাগবে, আর যদি এই হরমোন কম থাকে (যেমন ভরপেট অবস্থায়) তাহলে কোন খাবারেই লোভ লাগবে না। সমস্যা হচ্ছে এমন যদি হয় খালি পেট থাকলেও পাকস্থলী Ghrelin নিঃসরন না করে যেমন হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরী ইনফেকশন (গ্যাস্ট্রিক) থাকলে, তখন প্রয়োজনের সময়ও ক্ষুধা লাগবে না, আবার উলটোটা ও হতে পারে যদি Ghrelin এর পরিমান বেড়ে যায়, তখন বেশী বেশী খেতে ইচ্ছা করবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে ক্ষুধার মতো আপাত মৌলিক অনুভুতি আসলে স্রেফ একটা হরমোনের রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলাফল। হরমোনের প্রভাবে আমাদের মস্তিষ্ক সময় ভেদে খাবারের দৃশ্যকে ভালো লাগাতে বাধ্য করছে, আবার অন্য সময় একই দৃশ্যে বিবমিষার অনুভুতি এনে দিতে পারে। একই অনুভুতির প্রক্রিয়া অন্যান্য প্রানীদেরও আছে, কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের ফসল এসব আদিম অনুভুতি অবচেতন ভাবেই আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, আমরা চাইলেও আর না চাইলেও, অনুভুতি তৈরী হবার পর মস্তিষ্কের সচেতন অংশে হয়তো আমরা ভিন্ন ব্যাখ্যা করি। ধরে নিতে পারেন অনেকটা হার্ড কোডেড অমোছনীয় সফটওয়্যারের মতো, সজ্ঞানে চালু করতে হয় না, অটোমেটিক কাজ করতে থাকে। হোক না animal instinct , তারপরও জীবনধারনে এসব অবচেতন প্রক্রিয়ার ভুমিকা অনস্বীকার্য। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে অন্যান্য ভালোলাগার অনুভুতিরও কি একই দশা। একপলকের দেখায় কাউকে যখন ভালো লেগে যায়, দুর্নিবার আকর্ষন যখন টানতে থাকে তার কারন কি। চেহারায় কিএমন সৌন্দর্য থাকে যে যুক্তি দিয়ে চিন্তা করার আগেই ভালো লাগা পেয়ে বসে।
উত্তরের জন্য দেখা যাক সুন্দরের বৈশিষ্ট কি, যে কোন বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন মডেলকে অথবা আপনার প্রিয় নায়িকাকে উদাহরন হিসেবে নিয়ে নিন, প্রাথমিক বিশ্লেষনে পাবেন প্রতিসম মুখায়বব, পুরুষ্ট ঠোট, উদ্ভাসিত চোখ আর ফিগারের ক্ষেত্রে কোমর এবং নিতম্বের চমত্কার সামঞ্জস্য। এরকম অল্প কিছু বিশেষায়িত শারিরীক বৈশিষ্ট্যই আমাদের সচরাচর টানে, আমরা তখন বলি, "সুন্দরী"। উপরের ছবিতে ক্যারেন টেইলরের সাইট থেকে নেয়া টেম্পলেট দিয়েছি, ক্যারেন এবং ড. ন্যান্সি এটকফ দেখিয়েছেন মেরিলিন মনরো থেকে শুরু করে লিজ টেলর, লুসি লিউ সবার চেহারা মোটামুটি একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটের (এ্যানিমেটেড gif, কাজ না করলে এখানে দেখুন www.karenttaylor.com/spsurvival.html )। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এসব বৈশিষ্ট্য কেন আমাদের কাছে সৌন্দর্যের জন্য প্রয়োজনীয় মনে হয়। আবার animal instinct-এ ফেরত যাওয়া যাক। এই গুনাগুনগুলো কোনটাই আসলে স্রেফ কথার কথা নয়, এদের গভীর বায়োলজিকাল মুল্য আছে। যেমন প্রতিসম মুখমন্ডলের কথা ধরা যাক, প্রতিসমতা আসবে তখনই যদি মায়ের পেটে থাকতে এবং শৈশবে ভালোভাবে সুষম বৃদ্ধি হয়। একটা শব্দ আছে heuristic, আমি জানি না আপনারা ব্যবহার করেন কি না, এর মানে দাড়ায় অনেকটা rule of thumb এর মতো অথবা বাংলায় বলতে গেলে এরকম, অল্প তথ্যের ভিত্তিতে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়া, যেটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক। যাহোক প্রতিসম গঠন একটা বায়োলজিকাল heuristic, কারো গঠন অপ্রতিসম হলে মোটামটি ভাবে ধরা যায় তার কোন শারিরীক সমস্যা আছে, হয়তো জন্মগত বা পরবর্তিকালে অপুষ্টি জনিত। আশ্চর্যজনক হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক কারো চেহারা একপলক দেখেই দ্রুত মোটামুটি নির্ভুল ভাবে এই heuristic ক্যালকুলেট করে। আবার যেমন ভরাট ঠোটের প্রতি আকর্ষনের ব্যাপারটা ধরা যাক, ঠোটের এধরনের গঠন মেয়েদের ইস্ট্রোজেন লেভেলের সাথে জড়িত, তো এমন ঠোট দেখে মনের সচেতন অংশে যাই মনে হোক না কেন (যেমন কবিদের ক্ষেত্রে কবিতা, গান), ভেতরের কারন হলো আপনার মস্তিষ্কের পুরোনো অংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাকে দেখছেন তার হরমোন লেভেল খুবই সুবিধাজনক অবস্থায় আছে।
নীচের দ্বিতীয় ছবিতে একই চেহারা কিন্তু আলাদা ফিগারের মেয়েদের দেখুন, কাকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষনীয় মনে হয়। গবেষনায় দেখা গেছে যে দেশের বা জাতির পুরুষই হোক না কেন, সবার পছন্দ যখন মেয়েদের কোমর এবং নিতম্বের অনুপাত ৩ঃ৪ এর কাছাকাছি হয়। এর চেয়ে খুব কম বা বেশী হলে আর ভালো লাগে না। বায়োলজিকালী এই অনুপাতের মানে হচ্ছে মেয়েটা সন্তান ধারনের খুবই উপযুক্ত। নিতম্বে চর্বি কম থাকলে গর্ভে সন্তানের বৃদ্ধির জন্য তা বাধা হয়ে দাড়াবে, অন্যদিকে অতিরিক্ত বেশী থাকলে শরীরে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেবে (যেমন cardiovascular disorder, diabetes)। আপাত দৃষ্টিতে যা চমত্কার ফিগার হিসেবে ভাবি তা আসলে সন্তান ধারনের জন্য গুরুত্বপুর্ন শারিরীক যোগ্যতা। মেরিলন মনরো, সোফিয়া লোরেন থেকে হালের কেট মস প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ০.৭।
অন্যান্য শারিরীক গুনাগুন যা সাধারনত আমরা সৌন্দর্য বলে ভাবি তার পেছনে আসলে বায়োলজিকাল ফিটনেস জনিত কারন আছে। এমনকি কারো গায়ের গন্ধও ভালো লাগতে পারে যদি তার ইমিউন সিস্টেম আপনার চেয়ে ভিন্ন হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বায়োলজিকাল ফিটনেসের সাথে সৌন্দর্য জড়ালো কিভাবে? আসলে যেটা ঘটে তা হলো মনের অবচেতন অংশ সবসময়ই তার নিজস্ব এজেন্ডা নিয়ে কাজ কে যাচ্ছে (যেমন সঙ্গিনী খোজা, বংশবিস্তারের প্ল্যান করা), সচেতন অংশ থেকে এদেরকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়, হয়তো উপেক্ষা করা যেতে পারে। যেমন চাইলেও নিউরনকে এমন সিগন্যাল দিতে পারবেন না যে হাতে কেউ চিমটি কাটলেও যেন ব্যাথা না লাগে, যেটা করতে পারি তা হলো ব্যাথা পেয়ে উপেক্ষা করা (অথবা মুখ বুজে সহ্য করা)। তেমনি কাউকে দেখলে অটোমেটিক অবচেতন মন তার নিজস্ব বিশ্লেষন করে, সচেতন মন থেকে চাইলেও বা না চাইলেও, বিশ্লেষনের উদ্দেশ্য সম্ভাব্য সঙ্গিনী খোজা, আর বিশ্লেষনের ফলাফলে আমাদের কাছে কাউকে সুন্দর বা অসুন্দর মনে হয়। পরবর্তিতে সচেতন অংশ এই তথ্যের আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা বা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে অথবা নেয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। ড. ন্যান্সি এটকফের মতে physical attraction এর ভিত্তি আসলে বায়োলজিক্যাল, শেখার ব্যাপার নয়।
কখনও কি মনে হয়েছে একই খাবার ক্ষুধার্ত অবস্থায় দেখলে চরম লোভনীয় মনে হয় অথচ ভরপেটে দেখলে কোন আগ্রহই কেন উদ্রেক করে না? আমরা ভাবি পেট খালি থাকলেই ক্ষুধা লাগে, মোটামুটি ভাবে ব্যাপারটা তাই হলেও সম্পর্কটা এত সরলরৈখিক না। ক্ষুধার পেছনে দায়ী হরমোন হলো Ghrelin , রক্তে এই হরমোন বেড়ে গেলে মস্তিষ্কে ক্ষুধার অনুভুতি হয়, তখন খাবার দেখলেই লোভ লাগবে, আর যদি এই হরমোন কম থাকে (যেমন ভরপেট অবস্থায়) তাহলে কোন খাবারেই লোভ লাগবে না। সমস্যা হচ্ছে এমন যদি হয় খালি পেট থাকলেও পাকস্থলী Ghrelin নিঃসরন না করে যেমন হেলিকোব্যাক্টর পাইলোরী ইনফেকশন (গ্যাস্ট্রিক) থাকলে, তখন প্রয়োজনের সময়ও ক্ষুধা লাগবে না, আবার উলটোটা ও হতে পারে যদি Ghrelin এর পরিমান বেড়ে যায়, তখন বেশী বেশী খেতে ইচ্ছা করবে। তাহলে দেখা যাচ্ছে ক্ষুধার মতো আপাত মৌলিক অনুভুতি আসলে স্রেফ একটা হরমোনের রাসায়নিক ক্রিয়ার ফলাফল। হরমোনের প্রভাবে আমাদের মস্তিষ্ক সময় ভেদে খাবারের দৃশ্যকে ভালো লাগাতে বাধ্য করছে, আবার অন্য সময় একই দৃশ্যে বিবমিষার অনুভুতি এনে দিতে পারে। একই অনুভুতির প্রক্রিয়া অন্যান্য প্রানীদেরও আছে, কোটি কোটি বছরের বিবর্তনের ফসল এসব আদিম অনুভুতি অবচেতন ভাবেই আমাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে, আমরা চাইলেও আর না চাইলেও, অনুভুতি তৈরী হবার পর মস্তিষ্কের সচেতন অংশে হয়তো আমরা ভিন্ন ব্যাখ্যা করি। ধরে নিতে পারেন অনেকটা হার্ড কোডেড অমোছনীয় সফটওয়্যারের মতো, সজ্ঞানে চালু করতে হয় না, অটোমেটিক কাজ করতে থাকে। হোক না animal instinct , তারপরও জীবনধারনে এসব অবচেতন প্রক্রিয়ার ভুমিকা অনস্বীকার্য। সেক্ষেত্রে প্রশ্ন হচ্ছে অন্যান্য ভালোলাগার অনুভুতিরও কি একই দশা। একপলকের দেখায় কাউকে যখন ভালো লেগে যায়, দুর্নিবার আকর্ষন যখন টানতে থাকে তার কারন কি। চেহারায় কিএমন সৌন্দর্য থাকে যে যুক্তি দিয়ে চিন্তা করার আগেই ভালো লাগা পেয়ে বসে।
উত্তরের জন্য দেখা যাক সুন্দরের বৈশিষ্ট কি, যে কোন বিশ্বখ্যাত ফ্যাশন মডেলকে অথবা আপনার প্রিয় নায়িকাকে উদাহরন হিসেবে নিয়ে নিন, প্রাথমিক বিশ্লেষনে পাবেন প্রতিসম মুখায়বব, পুরুষ্ট ঠোট, উদ্ভাসিত চোখ আর ফিগারের ক্ষেত্রে কোমর এবং নিতম্বের চমত্কার সামঞ্জস্য। এরকম অল্প কিছু বিশেষায়িত শারিরীক বৈশিষ্ট্যই আমাদের সচরাচর টানে, আমরা তখন বলি, "সুন্দরী"। উপরের ছবিতে ক্যারেন টেইলরের সাইট থেকে নেয়া টেম্পলেট দিয়েছি, ক্যারেন এবং ড. ন্যান্সি এটকফ দেখিয়েছেন মেরিলিন মনরো থেকে শুরু করে লিজ টেলর, লুসি লিউ সবার চেহারা মোটামুটি একটা নির্দিষ্ট ফরম্যাটের (এ্যানিমেটেড gif, কাজ না করলে এখানে দেখুন www.karenttaylor.com/spsurvival.html )। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে এসব বৈশিষ্ট্য কেন আমাদের কাছে সৌন্দর্যের জন্য প্রয়োজনীয় মনে হয়। আবার animal instinct-এ ফেরত যাওয়া যাক। এই গুনাগুনগুলো কোনটাই আসলে স্রেফ কথার কথা নয়, এদের গভীর বায়োলজিকাল মুল্য আছে। যেমন প্রতিসম মুখমন্ডলের কথা ধরা যাক, প্রতিসমতা আসবে তখনই যদি মায়ের পেটে থাকতে এবং শৈশবে ভালোভাবে সুষম বৃদ্ধি হয়। একটা শব্দ আছে heuristic, আমি জানি না আপনারা ব্যবহার করেন কি না, এর মানে দাড়ায় অনেকটা rule of thumb এর মতো অথবা বাংলায় বলতে গেলে এরকম, অল্প তথ্যের ভিত্তিতে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেয়া, যেটা বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই সঠিক। যাহোক প্রতিসম গঠন একটা বায়োলজিকাল heuristic, কারো গঠন অপ্রতিসম হলে মোটামটি ভাবে ধরা যায় তার কোন শারিরীক সমস্যা আছে, হয়তো জন্মগত বা পরবর্তিকালে অপুষ্টি জনিত। আশ্চর্যজনক হচ্ছে আমাদের মস্তিষ্ক কারো চেহারা একপলক দেখেই দ্রুত মোটামুটি নির্ভুল ভাবে এই heuristic ক্যালকুলেট করে। আবার যেমন ভরাট ঠোটের প্রতি আকর্ষনের ব্যাপারটা ধরা যাক, ঠোটের এধরনের গঠন মেয়েদের ইস্ট্রোজেন লেভেলের সাথে জড়িত, তো এমন ঠোট দেখে মনের সচেতন অংশে যাই মনে হোক না কেন (যেমন কবিদের ক্ষেত্রে কবিতা, গান), ভেতরের কারন হলো আপনার মস্তিষ্কের পুরোনো অংশ সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাকে দেখছেন তার হরমোন লেভেল খুবই সুবিধাজনক অবস্থায় আছে।
নীচের দ্বিতীয় ছবিতে একই চেহারা কিন্তু আলাদা ফিগারের মেয়েদের দেখুন, কাকে সবচেয়ে বেশী আকর্ষনীয় মনে হয়। গবেষনায় দেখা গেছে যে দেশের বা জাতির পুরুষই হোক না কেন, সবার পছন্দ যখন মেয়েদের কোমর এবং নিতম্বের অনুপাত ৩ঃ৪ এর কাছাকাছি হয়। এর চেয়ে খুব কম বা বেশী হলে আর ভালো লাগে না। বায়োলজিকালী এই অনুপাতের মানে হচ্ছে মেয়েটা সন্তান ধারনের খুবই উপযুক্ত। নিতম্বে চর্বি কম থাকলে গর্ভে সন্তানের বৃদ্ধির জন্য তা বাধা হয়ে দাড়াবে, অন্যদিকে অতিরিক্ত বেশী থাকলে শরীরে অন্যান্য সমস্যা দেখা দেবে (যেমন cardiovascular disorder, diabetes)। আপাত দৃষ্টিতে যা চমত্কার ফিগার হিসেবে ভাবি তা আসলে সন্তান ধারনের জন্য গুরুত্বপুর্ন শারিরীক যোগ্যতা। মেরিলন মনরো, সোফিয়া লোরেন থেকে হালের কেট মস প্রত্যেকের ক্ষেত্রে এই অনুপাত ০.৭।
অন্যান্য শারিরীক গুনাগুন যা সাধারনত আমরা সৌন্দর্য বলে ভাবি তার পেছনে আসলে বায়োলজিকাল ফিটনেস জনিত কারন আছে। এমনকি কারো গায়ের গন্ধও ভালো লাগতে পারে যদি তার ইমিউন সিস্টেম আপনার চেয়ে ভিন্ন হয়। এখন প্রশ্ন হচ্ছে বায়োলজিকাল ফিটনেসের সাথে সৌন্দর্য জড়ালো কিভাবে? আসলে যেটা ঘটে তা হলো মনের অবচেতন অংশ সবসময়ই তার নিজস্ব এজেন্ডা নিয়ে কাজ কে যাচ্ছে (যেমন সঙ্গিনী খোজা, বংশবিস্তারের প্ল্যান করা), সচেতন অংশ থেকে এদেরকে নিয়ন্ত্রন করা সম্ভব নয়, হয়তো উপেক্ষা করা যেতে পারে। যেমন চাইলেও নিউরনকে এমন সিগন্যাল দিতে পারবেন না যে হাতে কেউ চিমটি কাটলেও যেন ব্যাথা না লাগে, যেটা করতে পারি তা হলো ব্যাথা পেয়ে উপেক্ষা করা (অথবা মুখ বুজে সহ্য করা)। তেমনি কাউকে দেখলে অটোমেটিক অবচেতন মন তার নিজস্ব বিশ্লেষন করে, সচেতন মন থেকে চাইলেও বা না চাইলেও, বিশ্লেষনের উদ্দেশ্য সম্ভাব্য সঙ্গিনী খোজা, আর বিশ্লেষনের ফলাফলে আমাদের কাছে কাউকে সুন্দর বা অসুন্দর মনে হয়। পরবর্তিতে সচেতন অংশ এই তথ্যের আরো বিস্তারিত ব্যাখ্যা বা সে অনুযায়ী পদক্ষেপ নিতে পারে অথবা নেয়া থেকে বিরত থাকতে পারে। ড. ন্যান্সি এটকফের মতে physical attraction এর ভিত্তি আসলে বায়োলজিক্যাল, শেখার ব্যাপার নয়।
0 Comments:
Post a Comment
<< Home